ডাঃ ফাতিন খুরশিদার হাদীস থেকে
ক্যান্সারের প্রতিরোধক ঔষধ আবিস্কার
লেখকঃ সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ
ডাঃ ফাতেন খুরশিদ কিং আব্দুল আযীয
ইউনিভার্সিটির মেডিসিন ফ্যাকাল্টির
একজন প্রফেসর, সেই সাথে কিং ফাহাদ
মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের প্ল্যান্ট
সেলস অ্যান্ড টিস্যুজ ইউনিটের
প্রেসিডেন্ট। তিনি ২০০১ সালে নির্ধারিত
সময়ের পূর্বেই গ্ল্যাসগো ইউনিভার্সিটি
থেকে টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং এ তার
পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। এখন পর্যন্ত
তার চারটি বই ও চৌদ্দটি পেপার পাবলিশ
হয়েছে। একই সাথে তিনি WAMY (World
Assembly of Muslim Youth) এর মহিলা
বিভাগের সদস্য।
বুখারী ও মুসলিমে একটি সহীহ হাদীসে
এসেছে যে কিছু বেদুইন মদীনায় এসে অসুস্থ
হয়ে যায়। তাদের অবস্থার যে বর্ণনা
হাদীসে পাওয়া যায় তা পড়ে ডঃ খুরশিদ
অনুভব করেন, তাদের অসুস্থতার কারণ হতে
পারে লিভারের অসুখ, এডেমা বা ক্যন্সার।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) তাদের আদেশ দেন
মরুভূমির শুষ্ক এলাকায় চলে যেতে এবং
মেডিসিন হিসেবে উটের দুধ ও মূত্র
মিশিয়ে খেতে। এ ঘটনা থেকে শিক্ষা
নিয়ে ডঃ খুরশিদ মেডিসিন হিসেবে উটের
মূত্রের কার্যকারিতার গবেষণায় লিপ্ত হয়ে
যান। দীর্ঘ সাত বছর গবেষণার পর তিনি
উটের মূত্র থেকে ন্যানো পার্টিক্যাল
এক্সট্র্যাক্ট করতে সক্ষম হন যা ফুসফুসের
ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সুস্থ সেলগুলোর ক্ষতি
না করেই ক্যান্সার সেলগুলো ধ্বংস করে
দিতে সবচেয়ে সক্ষম হিসেবে প্রমাণিত
হয়। উপরন্তু স্বেচ্ছাসেবীদের উপর পরীক্ষা
সম্পন্ন করে এটাও প্রমাণিত হয় যে এর কোন
সাইড ইফেক্ট নেই। ব্লাড ক্যান্সার, ব্রেস্ট
ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমারের মত রোগেও
এটি কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়।
তার এ গবেষণার কারণে তিনি ও তার দল
২০০৮ সালে সৌদিতে শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারের
পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ২০০৯ সালের
মে মাসে অনুষ্ঠিত International Innovation and
Technology Exhibition (ITEX) এ ৬০০
প্রতিযোগীর সাথে অংশ নিয়ে তার ওষুধ
শ্রেষ্ঠ ৬ আবিষ্কারের একটি হিসেবে
গোল্ড মেডেল লাভ করে। ডাঃ খুরশিদ World
Supreme Council for Commission on Scientific
Signs of Quran and Sunnah এর গবেষণা দলের
একজন সদস্য।সূত্র :- ( http://www.almrsal.com/
ডাঃ খুরশিদা প্রমান করেছেন পর্দার
সাথে নারীদের বিজ্ঞানী হতেও বাধা
নেই শরিয়তের গণ্ডির ভিতরে থেকে।
শুভ কামনা ও মোবারকবাদ বিজ্ঞানী ডাঃ
খুরশিদাকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন